🏞️ শিলং: মেঘালয়ের হৃদয়ে এক টুকরো ইউরোপScotland of the East – এই উপাধিটিই বলে দেয় শিলং কতটা মনোমুগ্ধকর। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, তেমনই আবার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, পাহাড়ি জনজীবন ও ইতিহাসের এক অনন্য সংমিশ্রণ। যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে কিছুদিন প্রকৃতির কোলে কাটাতে চান, তাদের জন্য শিলং স্বর্গের চেয়ে কম নয়।
🌄 Shillong Peak – আকাশ ছোঁয়া সৌন্দর্য শহরের সর্বোচ্চ বিন্দু Shillong Peak, যা প্রায় ৬৪৪৯ ফুট উঁচু। এখান থেকে পুরো শিলং শহর যেন হাতের মুঠোয় ধরা পড়ে।晴天-এ গেলে দূরে হিমালয়ের সাদা চূড়াও দেখা যায়। এখানে ভারতীয় বায়ুসেনার রাডার স্টেশনও রয়েছে, তাই নিরাপত্তা চেকপোস্ট পার হয়ে ঢুকতে হয়।
🌊 Elephant Falls – হাতির মতো বিশাল এক সৌন্দর্য শিলং থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি তিন ধাপে নেমে আসা এক নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। ঝরনার ধার ঘেঁষে নামার পথ রয়েছে, ফলে নিচ থেকে উপরের ঝরনার শব্দ ও সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বর্ষাকালে জলপ্রপাতটি তার পূর্ণ রূপে ফেটে পড়ে।
🪷 Ward’s Lake – শহরের মাঝে নির্জনতার ঠিকানা শিলং শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই চমৎকার লেকটি হাঁটাচলা, ছবি তোলা ও প্যাডেল বোটিং-এর জন্য আদর্শ। লেকের চারপাশে ফুলে-ফলে ভরা বাগান এবং কাঠের সেতুগুলো একে করে তোলে একদম পোস্টকার্ডের মতো।
🏛️ Don Bosco Museum – পূর্ব ভারতের জানালা এই আধুনিক ও তথ্যবহুল জাদুঘরটি উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যের সংস্কৃতি, পোশাক, জীবনযাপন, শিল্পকর্ম ও ঐতিহ্য তুলে ধরে। যারা মেঘালয় ও তার আশেপাশের অঞ্চলের ইতিহাস জানতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান।
☁️ শিলং কেন আলাদা? শিলং-এর আবহাওয়া, পাহাড়ি রাস্তা, পাইন গাছ, পাহাড়ি মানুষের হাসিমুখ – সবকিছু মিলিয়ে এই শহরের এক নিজস্ব ছন্দ রয়েছে। এখানে ঘোরার সময় আপনি শুধু প্রকৃতিকে দেখবেন না, আপনি প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাবেন।
✨ ছোট্ট কিছু ভ্রমণ টিপস: 1. এপ্রিল থেকে অক্টোবর – শিলং ঘোরার সেরা সময়। 2. ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখুন, কারণ হঠাৎ বৃষ্টি প্রায়ই হয়। 3. স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে মোমো, জউ (চাল দিয়ে তৈরি পানীয়) এবং মেঘালয়ের খাসি রান্না অবশ্যই ট্রাই করুন।
0 Comments