সাহারা মরুভূমির ৫ বিস্ময়কর প্রাণী | Sahara Desert Wildlife in Bengali

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উষ্ণ মরুভূমি — সাহারাধারণা করা হয় এখানে বৃষ্টিপাত বছরে মাত্র ১০০ মিলিমিটারের কম তবুও, এই শুষ্ক, উত্তপ্ত আর কঠিন পরিবেশেও বেঁচে আছে কিছু প্রাণী, যারা প্রকৃতির একেকটা বিস্ময়।আজকে চল, খুঁজে দেখি সাহারা মরুভূমির সেই বীর যোদ্ধাদের গল্প — যারা প্রতিদিন লড়াই করে টিকে থাকে!

🐫 ১. উট – Camel 

উট, মরুভূমির জাহাজ নামে পরিচিত। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটতে পারে। এদের শরীরে এক বা দুইটা humps থাকে — অনেকেই ভাবেন ওগুলোয় পানি থাকে। আসলে সেখানে জমে থাকে চর্বি, যা থেকে উট শক্তি নেয়। তাদের নাক এমনভাবে তৈরি যে বালি ঢুকে না, চোখে থাকে ঘন চোখের পাতা — যেন প্রাকৃতিক সানগ্লাস! আর পা? চওড়া আর নরম — যাতে বালিতে ডুবে না যায়।



২. সাহারার বিচ্ছু – Deathstalker Scorpion

Deathstalker Scorpion হলো সাহারার সবচেয়ে ভয়ংকর বিষধর প্রাণীগুলোর একটি। রাতে বের হয়, শিকার ধরে। দিনের গরমে বালির নিচে লুকিয়ে থাকে। তাদের বিষ মানুষের জন্য প্রাণঘাতীও হতে পারে — কিন্তু একইসাথে এই বিষ ঔষধ তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়!


৩. ফেনেক ফক্স – Fennec Fox 

ফেনেক শিয়ালের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য — ওর বড় বড় কান। এই কান শুধু শোনা নয়, গরম শরীর ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। দিনে থাকে বালির নিচে, রাতে বের হয়ে পোকামাকড়, ছোট পাখি কিংবা ডিম খায়। এদের গায়ের লোম এতই পাতলা আর হালকা রঙের, যা রোদ প্রতিফলিত করে।


৪. মরুভূমির টিকটিকি – Desert Lizard

তাপমাত্রা যখন ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়, তখনও কিছু টিকটিকি দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। Desert Lizard বা Fringe-toed Lizard এদের অন্যতম। পায়ের গঠন এমনভাবে তৈরি, যাতে বালির ওপর সহজে চলতে পারে। আর রঙ? বালির মতোই, যেন শত্রু বুঝতেই না পারে কোথায় লুকিয়ে আছে


৫. মরুভূমির পঙ্গপাল – Desert Locust

ছোট কিন্তু ভয়ঙ্কর — সাহারার পঙ্গপাল। শুকনো মৌসুমে টিকে থাকে মাটির নিচে, বৃষ্টি হলে বেরিয়ে আসে লক্ষ লক্ষ দল বেঁধে। তাদের হানা মানে — কৃষিজমির সর্বনাশ। তারা এক দিনে নিজের ওজনের সমান খাবার খেয়ে ফেলে


Post a Comment

0 Comments