বাজ পাখি পরিচিতি: শ্রেণিবিন্যাস, বৈশিষ্ট্য ও প্রেরণার গল্প


 


প্রকৃতির বুকে কিছু পাখি আছে যারা শুধু উড়ার জন্যই জন্মায়নি, বরং জন্মেছে রাজত্ব করার জন্য। বাজ পাখি তাদেরই একজন। এর ডানার বিস্তার, দৃষ্টির তীক্ষ্ণতা এবং শিকারের দক্ষতা একে অন্য সব পাখির চেয়ে আলাদা করে তোলে। আকাশে ওড়ে যেন নির্ভীক এক যোদ্ধার মতো। সাহস, স্বাধীনতা ও দৃঢ়তা—এই তিনটি গুণ বাজ পাখির মধ্যে একত্রে পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই নানা দেশে বাজ পাখিকে শক্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। যুদ্ধের পতাকা থেকে শুরু করে জাতীয় প্রতীকে বাজ পাখির ছবি পাওয়া যায়। এটি শুধু একটি পাখি নয়, বরং এক অনুপ্রেরণার নাম।

নামের শ্রেণিবিন্যাস (Classification) :

Kingdom   : Animalia (Animals)
   Phylum     : Chordata
      Class        : Aves (Birds)
         Order       : Accipitriformes
            Family    : Accipitridae
               Genus     : Aquila / Haliaeetus (varies)
                  Species  : Bald Eagle


বৈশিষ্ট্য (বৈশিষ্ট্য বা বিশেষ গুণ)

1. দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত প্রখর – বাজ পাখি অনেক উঁচু থেকে নিচে থাকা ছোট শিকারকেও দেখতে পায়।

2. শক্তিশালী ঠোঁট ও পায়ের নখ – সহজেই শিকার ধরে ফেলতে পারে।

3. বড় ডানার বিস্তার – অনেকে ৬ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত ডানার বিস্তার রাখতে পারে।

4. দীর্ঘায়ু – বাজ পাখির আয়ু সাধারণত ২০–৩০ বছর হয়, কখনো কখনো ৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

5. শিকারী স্বভাব – মাছ, সাপ, খরগোশ এমনকি ছোট পাখি শিকার করে।

6. স্বাধীনচেতা – একা থাকতে পছন্দ করে, নিজের এলাকা অন্যদের দখল করতে দেয় না।

7.উচ্চতাভীরু নয় – পাহাড় বা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে এবং সেখান থেকেই শিকার করে।

8. প্রতীকী মূল্য – অনেক দেশের প্রতীক ও সামরিক চিহ্নে ব্যবহার হয়।




Post a Comment

0 Comments